আপনারা যারা স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবছেন তাদের জন্য ওয়ালটন নিয়ে এল এস সিরিজের ওয়ালটন প্রিমো এস ৪ যা এক কথায় অসাধারন। স্মাট মোবাইল গুলোর মধ্যে ওয়ালটন প্রিমো এস ৪ ডিভাইসটিতে রয়েছে আধুনিকতার বিপুল ছোঁয়া। ওয়ালটন প্রিমো এস ৪ ডিভাইসটিতে রয়েছে আকষনীয় লুকস, গুড ফিচার, হাই কোয়ালিটি ক্যামেরা, স্লিম বডি সহ আরও অনেক কিছু। চলুন এক ঝলকে দেখে নেয়া যাক ওয়ালটন প্রিমো এস ৪ ডিভাইসটি কেন এত অসাধারে এবং কি কি রয়েছে এই আকষনীয় ডিভাইসটির মধ্যে।
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটকাট |
ডিসপ্লে | ৫ ইঞ্চির পিওর ব্ল্যাক আইপিএস |
প্রসেসর | ১.৩৭ ওকটা কোর প্রসেসর |
র্যাম | ২ গিগাবাইটের র্যাম |
রোম | ৩২ গিগাবাইটের রোম |
জিপিউ | মালি ৪৫০ জিপিউ |
রিয়ার ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
ফ্রন্ট ক্যামেরা | ৮ মেগাপিক্সেল |
সিম সাপোর্ট | ডুয়েল সিম |
ব্যাটারি | ২,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি |
প্রথমে বলব এই মোবাইলের বক্সে কি কি আছে মানে কি কি পাচ্ছেন আপনারা মোবাইলটির সাথে।মোবাইলটির বক্রটি খুললে প্রথমে পাবেন প্রিমো এস ৪ ডিবাইসটি সাথে চারজার, উন্নত মানের হেড ফোন যার সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো,ইউ এসবি ডেটা ক্যাবল , সোজিলিটি গুল এবং সব শেষে ওয়ারেন্টি কাড।
প্রিমো এস ৪ ডিভাইসটির মূল আকষন এর বিল্ড কোয়ালিটি। মোবাইরটির দুইপাশের গ্লাসে প্রটেকশন রয়েছে । ব্যক সাইডে রযেছে ড্রাগন টেইল গ্লাস এবং ফ্রন্ট সাইডে রয়েছে থাড জেনারেশন ক্রনিক গরিলা গ্লাস এই ডিভাইসটি অনায়েসে এক হাতে দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
এর বাম পাশের প্যানেলে রয়েছে লক বাটন এবং তার উপরে একটি মাইক্রোসিমসলট ডান পাশে ভলিয়ম রকার এবং মেমরি কাডস্লট রয়েছে। এই ম্যমরিকাড স্লটে ম্যমরিকাড ব্যবহার না করে আপনি চেইলে ন্যন সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যাক প্যানেলের উপরের দিকে বামে রয়েছে ১৩ মেগাপিকক্সেল ক্যামেরা সাথে ফ্ল্যাসলাইট। নিচের দিকে রয়েছে প্রিমো এস ৪ ব্রান্ডিং লোগো এবং অফিসিয়াল ইনফরমেশন।ফ্রন্ট প্যানেলের উপরের দিকে রয়েছে ফ্রান্ট ফেসিং ফ্ল্যাসলাইট এ্যারপিস, ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং কেম নিচের দিকে তিনটি ডাচ ক্যাপাসিটির বাটনস।মোবাইল ফোনটির একদম উপরের দিকে রয়েছে ৩.৫ এমএম অডিও পোট, নিচের দিকে রয়েছে মাইক্রোইউএসবি পোট।
মোবাইরটির দৈঘ্য ১৪২.৬ মিলিমিটার প্রস্থ্য ৭০.৭ মিলিমিটার। এছারা ব্যাটারি সহ মোবাইলটির ওজনমাত্র ১২৯ গ্রাম।চলুন দেখে নেয়া যাক আর কি কি আছে এই স্মাট ফোনটিতে
অপারেটিং সিস্টেম
মোবাইলটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে পাবেন এন্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটকেট।
ডিসপ্লে এবং টাচ
এর আগেই আপনাদেরকে বলা হয়েছে এ ডিভাইসটির ডিসপ্লেতে ব্যাবহার করা হয়েছে ক্রনিক গরিলা গ্লাস।ক্রনিক গরিলা গ্লাস ব্যবহার করার কারনে ডিভাইসটি তেমন কোন স্ক্যচ পরার সম্ভবনা নাই।এর ৫” পিউর আইপিএস ডিসপ্লেতে আপনারা (১৯২০ x ১০৮০) পিক্সিলের ভিডিও দেখতে পারবেন কোন প্রকার লেকিং ছারাই।এই মোবাইলের ডিসপ্লেতে ৫ আঙ্গুল পযর্ন্ত মাল্টিটিাচ সাপোট করে।
ক্যামেরা
এস ৪ এর ক্যামেরা এক কথায় অনেক ভালো।এর ক্যামেরায় তোলা ছবিগগুলোর সাপনেস ও কালার টোনগুলো অনেক চমতকার। এতে আছে বি এস আই ১৩ মেগাপিকক্সেল অটোফোকাস রেয়ার ক্যামেরা যার কারনে লোলাইটেও ওনায়েসে ছবি তোলাযাবে। ফ্রন্টে রয়েছে ডিএইচএস সেস্নরযুক্ত ৮ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস ক্যামেরা।যারা সেলফি তুলতে ভালোবাসে তাদের জন্য এই মোবাইলটি বেশ হবে।মোবাইলটি দিয়ে আপনারা১০৮০পি৩০এফপিএস ভিডিও রেকোডিং করতে পারবেন।
রোম ও র্যাম
এই মোবাইলে রয়েছে ২ গিগাবাইট র্যাম এবং ৩২ গিগাবাইট রম, র্যামের মধ্যে ইউজার এভেইলেবল র্যাম পাবেন প্রায় ১,৭ গিগাবাইট আর ৩২ গিগাবাইট রমের মধ্যে আপনারা ২৫.৮২ গিগাবাইট আপনারা Unified storage হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আর বাকি যায়গা টুকু মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম এবং Built in apps install এ ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজন অনুয়ায়ী মেমরি কার্ড ইউজ করার সুবিধা আছে সর্বোচ্চ ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত।
গেমিং
ডিভাইসটিতে ১.৩ প্লাস জিবি র্যাম ফ্রি পাবেন আর তাই এস৪ থেকে ভালো মাল্টিটাস্কিং এবং পারফরমেস্ন পাবেন।গ্রাফিক্রসের জন্য রয়েছে মাল্টি ৪৫০ এমপি আর ভালো র্যাম গ্রাফিক্স প্রসেসিং এর জন্য এর মধ্যে সকল হাই রেফিনেশনের গেমসগুলো সহজেই খেলতে পারবেন।এই মোবাইলটিতে আমি যেই গেমস গুলো খেলেছি সব গেমস গুলো খুব ইস্মুথলি চলেছে ও কোন লেক ছিল না।ডিভাইসটি ওটিজি সাপোটেড হওয়ায় এর মধ্যে আপনি জয়েসটিভ ব্যবহার করে খেলতে পারবেন।শুধু জয়েসটিভি নয় পেনড্রাইভ, মাউস থেকে শরু করে যে কোন ধরনের ইউসবি এক্সাসারিস ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যাটারি ব্যাকাপ
প্রিমো এইচ ৪ মোবাইলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২২০০ mAh নন রিমুভএবল ব্যাটারি।৫”ডিসপ্লেরে জন্য এই মোবাইলের ব্যাটারি ব্যাকাপ যথেষ্ট ভালো বলে মনে করছি। অন স্ক্রিনে বসে গেমস খেললে বা নেট ব্যবহার করলে মোবাইলের চাজতো একটু তাড়াতাড়ি শেষ হবে আর সেটা যত ভালো মোবাইলই হোক না কেন।
দুবলতা
সত্যি বলতে এই ডিভাইসটিতে তেমন কোন লেকিং খুজে পাওয়া যায়নি।মোবাইলটি দুই পাশে গ্লাসের হওয়ায় অনেক বেশি সময় ব্যবহারের ফলে একটু গড়ম হতে পারে এছারা তেমন কোন সমস্যা নেই।বন্ধুরা আমার মনে হয় যখন আপনারা এই মোবাইলটি ব্যবহার করবেন তখন আপনারাও আমার সাথে একমত হবেন।
দাম
ওয়ালটন প্রিমো এস ৪ দাম নিধারন করা হয়েছে ১৫৯৯০ টাকা।অনেকের কাছে মনে হতে পারে দামটা একটু বেশি । আমি বলবো ভালোকিছু পেতে হলে দামটাকে বড় করে না দেখে পন্যের কোয়ালিটিটাকে দেখতে ।আর ভালো পারফরমেস্ন পেতে হলে দামতো একটু বেশি হবেই।
মতামত
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে ওয়ালটন প্রিমো এস ৪ মোবাইলটি কেমন আমি এক কথায় বলবো মোবাইলটি যথেষ্ট ভালো।যদি কেউ বাজেটের কথা চিন্তা না করে তাহলে ওয়ালটন প্রিমো এস ৪ মোবাইলটি যে কারোর জন্য হতে পারে একটি স্টাইলিশ যুগউপযোগী মোবাইল।তারপরও আমি একটা কথা না বলে পারছি না বন্ধুরা সবপ্রথম নিজ পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে যাচাই ও বাছাই করে যেটা আপনার জন্য উপযুক্ত সেটাই কিনুন।
No comments:
Post a Comment