One Plus 2 Flagship Smartphone Hands On Review
অনেক দিন পর, অনেক গবেষণা আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে বের হলো One Plus এর নতুন মোবাইল, One Plus 2. যদিও অনেক ইউজারের মন ভরেনি এই স্মার্টফোন নিয়ে। অনেক কিছু বাদ পড়েছে আবার অনেক কিছু-ই হয়েছে আগের চেয়ে উন্নত তর। আর দাম রয়েছে প্রায় হাতের নাগালে।
বিস্তারিত আলোচনার আগে চলুন এক নজরে দেখে নেই এই স্মার্টফোনের বিস্তারিত অধ্যায়।
Display | LTPS LCD capacitive touchscreen, 16M colors |
Size | 5.5 inches (~73.3% screen-to-body ratio) |
Resolution | 1080 x 1920 pixels (~401 ppi pixel density) |
Protection | Gorilla Glass 4 |
OS | Oxyzen OS (Android 5.1 Lollipop) |
Chipset | Qualcomm MSM8994 Snapdragon 810 |
CPU | Quad-core Cortex-A53 & Quad-core 1.8 GHz Cortex-A57 |
GPU | Adreno 430 |
Internal Slot | 16 GB/ 64 GB |
Ram | 3 Gb, 4 GB |
Battery | Non Removable 3300 mAh |
ডিসপ্লে
One Plus 2 স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 5.5-inch 1080p 441ppi IPS LCD. আমরা অনেকেই আশা করেছিলাম হয়তো One plus 2 -তে QHd ডিসপ্লে ব্যবহার করা হবে, কিন্তু ঠিক One Plus 1 এর মতোই ডিসপ্লে রেজুল্যুশন রয়েছে নতুন এই স্মার্টফোনটিতে। জাপানী এক পরীক্ষায় জানা গেছে যে এই মোবাইলের Display Contrast Ratio হলো 1,500:1, কাজেই আশা হত হবার কিছু নেই, বরং অনেক ভালো এবং উন্নত রেজুল্যুশন-ই আপনারা পাবেন।
Design
ডিজাইনের দিক দিয়ে বলতে গেলে এক কথায় বলতে পারি দারুন ডিজাইন দিয়ে আপনাকে প্রথম দর্শনেই মুগ্ধ করে ফেলতে সক্ষম নতুন এই স্মার্টফোনটি। ৫টি আকর্ষণীয় ডিজাইন নিয়ে প্রথম দিকেই হাজির হবে এই স্মার্টফোনটি।
দারুণ লুকস আর ষ্টাইলিশ এই ফোনটির ডানদিকে উপরের দিকে রয়েছে Volume Rocker Button এব ঠিক তার নিচেই রয়েছে Power Button.
ফোনটির পেছনের দিকে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল শক্তিশালী ক্যামেরা আর ডুয়াল ফ্ল্যাশ।
মোবাইলের নিচের দিকে রয়েছে ডাবল স্পিকার এবং USB Type C Charging port.
ডিসপ্লের ঠিক নিচের দিকে ঠিক মাঝ বরাবর রয়েছে হোম বাটন, আর তার ২পাশে রয়েছে ২টি ক্যাসিটিভ টাচ বাটন। আর মুলত এই হোম বাটন দিয়েই আপনি Finger Print Lock/Unlock করতে পারবেন। আর মোবাইলের ডান পাশে রয়েছে Botification button, with that you can turn on and off your notification bar.
এক নজরে One Plus 2
Finger Print Sensor
প্রথমবারের মত এই মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে Finger Print Sensor, যা Galaxy S6 & iphone এর মত কাজ করবে।
Ram
Flashship Killer এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করা হয়েছে LPDDR4 RAM. ২টি ভার্সনের এই স্মার্টফোনটিতে 3 Gb Ram রয়েছে 16 GB Version এ, আর 4 GB Ram রয়েছে 64 GB Version এ। কাজেই এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে এই ফোনের পারফরমেন্স নিয়ে কোন রকম প্রবলেম এর কথা কেউ বলবেনা।
Rom
আমরা ঠিক আগের মতই আশা হত, কেন না এই স্মার্টফোনটিতে ঠিক আগের ভার্সনের মতই কোন প্রকার SD Card Slot ব্যবহার করা হয়নি। ১৬ জিবি আর ৬৪ জিবি ভার্সনের মোবাইলে র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে যথাক্রমে 3 GB & 4 GB. র্যামের দিকে কারো কোন প্রবলেম না থাকলেও Sd Card না থাকায় অনেকেই নারাজ এই মোবাইল নির্মাতাদের উপর।
Chipset & GPU
এই মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে World rebowned Qualcomm’s premium-tier SoC – the Snapdragon 810 v2.1 , Qualcomm তাদের নতুন এই চিপসেট নিয়ে অনেক বিস্তর গবেষনা করেছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত হিট হয় বলে অনেক মোবাইল নির্মাতাই এখন তাদের মোবাইলে Snapdragon 810 ব্যবহার করতে চান নি। তবে Version 2, বলে সেই রিস্ক নিয়েছে One plus. এখন দেখার বিষয় আসলেই কি অতিরিক্ত ব্যবহারে এই স্মার্টফোনের চিপসেট অতিরিক্ত গরম হয় না কি ইউজার ফ্রেন্ডলি ব্যবহার করা যাবে।
আর video দেখা বা গেমিং experience করার জন্য আপনারা পাচ্ছেন Adreno 430 GPU.
প্রসেসর
One Plus 2-তে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী অক্টাকোর প্রসেসর (Quad-core Cortex-A53 & Quad-core 1.8 GHz Cortex-A57). আমি আগেই বলেছি এই মোবাইলের পারফরমেন্স নিয়ে আপনাদের কারো কোন প্রকার অভিয়োগ থাকার কথা না। গেমিং, Video, music, multi-tasking থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে পারবেন একে বারে ঝই-ঝক্কি আর ঝামেলা বিহীন ভাবে।
ক্যামেরা
One Plus 2 তে 13MP rear facing camera that boasts six physical lenses, a dual LED flash with f/2.0 aperture. সম্ভবত ক্যামেরাতে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে ভালো এবং শক্তিশালী সেন্সর। বিশেষ করে এই মোবাইলের সেন্সরের সাথে রয়েছে 1.3 micrometre light-collecting pixels to deliver low-light shots. রিয়ার ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছ “Rear mounted laser technology sharpens and focuses the camera in just .33 milliseconds and the wide-angle 5MP front-facing camera ensures every angle is covered.” কাজেই বুঝতেই পারছেন ছবি তোলার ক্ষেত্রে আপনি পাচ্ছেন মাথা নষ্ট করা স্বাধীনতা। এছাড়া One plus 2 তে 4K video and RAW images (Like DSLR) সাপোর্ট করে। কাজেই আপনারা যারা ছবি স্মার্টফোন কেনার সময় ক্যামেরা পারফরমেন্সের কথা চিন্তা করেন তারা বিনা দ্বিধায় এই মোবাইলের ক্যামেরা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন।
OS
আপনারা অনেকেই জানেন One Plus 1 এ ব্যবহার করা হয়েছিলো CianogenMOD এর কিটক্যাট OS. কিন্তু নানান কারণে Cianogen এর সাথে One Plus এর ঝাশেরা থাকায় One Plus নিজেরাই Develop করে Oxyzen OS, যার Android 5.1 support করে।
USB Type
এই মোবাইলে Micro USB Charging এর বদলে USB Type C ব্যবহার করা হয়েছে। আপনারা ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
কি চেয়েছিলাম আর কি পেয়েছি?
ইউজার-রা আসলে কি চায় এটা এখন আমরা বুঝতে পারি। আমি যদি আমাকে দিয়ে বিবেচনা করি তাহলে আমি Expectation এর কথা তুলে ধরি।
My Expectation | What I got |
16/20 MP camera | 13 MP |
Quad HD Display | Full HD Display |
Super Amoled Displa | IPS LCD Display |
Fast Charging | Normal, as before |
SD card Slot | NO extra SD card Slot |
Removable battery | NON Removable Battery |
Water Proof | Not Avalable |
Metal Body | As like one plus 1 |
ব্যাটারি
One Plus 2 ব্যবহার করা হয়েছে 3300 mAh Non removable ব্যাটারি যার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এবং আগের ভার্সনের থেকে বেশি।
দাম
আমি আগেই বলেছি এই মোবাইলের মেট ২টা ভার্সন রয়েছে 16 GB & 64 GB. 16 GB ভার্সনের দাম রাখা হয়েছে $ 329, যা আমি বলবো একেবারে হাতের নাগালে আর 64 GB ভার্সনের দাম রাখা হয়েছে $ 389 যা আমার কাছে মোবাইলের কনফিগাররেশ অনুযায়ী একেবার পারফেক্ট মনে হয়েছে। One Plus এর CEO Pete Lau তার ঘোষনা অনুযায়ী আসলেই কথা রেখেছেন এবং এই মোবাইলের দাম সহনশীল পর্যায়ে রেখেছেন। বিশেষ করে যদি আমরা Samsung, Sony, LG, Oppo, আর iphone এর কনফিগারেশনের কথা চিন্তা করি তাহলে চোখ বুজে বলতে পারি আপনি প্রায় অর্ধেক দামেই পাবেন সেম কনফিগারের মোবাইল।
কি বলেন আপনারা? দামের সাথে কি আপনাদের কোন আপত্তি আছে? বিশেষ করে যদি Samsung, Sony, LG, Oppo, আর iphone এর তুলা করি তখন কি বলবেন?
রিভিউ-এ অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম। অনেক কিছু অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আশা করছি অল্প কয়েকদিনের মাঝ্যে Galaxy S6 এর সাথে এই মোবাইলের একটা Compare review করবো।
No comments:
Post a Comment